শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে তারা কান্নাকাটি করে ও খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেয়। শিশুদের এই অস্বস্তি মায়েদের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেন যা সাময়িক আরাম দিলেও পরে ফল হতে পারে মারাত্মক।
স্বাভাবিক পায়খানা দুই-তিন দিন পর পর হলেও তা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে না। পরপর তিন দিন শক্ত পায়খানা হলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। তাই দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশু যদি ফর্মুলা দুধ খায় তবে পাতলা করে অথবা নির্দেশনা অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
এছাড়া ছয় মাস বয়সের পর থেকে বাড়তি খাবারে আঁশযুক্ত খাবার যেমন-শাক-সবজি, ফল (কলা, আম, পেঁপে) খাওয়ালে উপকার হয়। পাশাপাশি ছোট-বড় সব শিশুকে নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করাতে হবে। তবে শিশু মলত্যাগের সময় ব্যথা পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।